আব্বু আমার হাত ফিরিয়ে দাওনা
- মুহাম্মদ রাইস উদ্দিন ০৩-০৫-২০২৪

ছোট্ট খোকন একটু ছিল দুষ্ট খেলা ধূলায় করতো সময় নষ্ট। বল নিয়ে সে থাকতো সদা মাঠে বাবা একদিন আচ্ছা করে ডাঁটে। আম্মু বলে শোন দিয়ে মন পড়ালেখা কর বাছাধন। পড়ার ফাঁকে খেলাই ছিল কাম হঠাৎ একদিন বিধি হল বাম বল খেলতে ভাঙ্গলো ঝাড়বাতি কাষ্ঠ দিয়ে মারল বাবা, রাগের বশবতি দুহাত দিয়ে বাধা দিল খোকন ভাবছে মনে বাবা আমার কেমন কাষ্ঠে ছিল পুরনো আলপিন হাত দুটো তার রক্তে হয় রঙিন। যন্ত্রণাতে কেটে গেল রাতি আম্মু এলেন ঘুম ভাঙ্গাতে গান গেয়ে প্রভাতি। দেখেন ছেলের করুণ পরিণতি হাসপাতালে না নিলে নেই গতি। হাসপাতালে নেয়া হল তাকে বারে বারে ডাকে খোকন মাকে মাগো আমার ব্যাথার যন্ত্রণায় আর পারি না জীবন বুঝি যায়। চেকআপ শেষে ডাক্তার এসে বলে হাত দুনোটা দিতে হবে ফেলে আশাহীনতায় বাবা দুঃস্বপ্ন দেখে বড় হয়ে ছেলে ক্ষমা করবেনা যে তাকে। হাত দুখানা নেই যে সাথে দেখে আঁখি খুলে ছানা ভড়া চোখে খোকন মাকে ডেকে বলে আম্মু তুমি আব্বুকে বোঝাও না আর কখনো ঝাড়বাতি ভাংবো না আব্বু আমার হাত ফিরিয়ে দাও একটু দয়ার দৃষ্টি দিয়ে চাও। দুঃখ সাগরে ডাকলো যেনো বান সবার মুখে হারিয়ে গেছে গান খোকন সোনার করুন আর্তনাদে সিক্ত বাতাস হু হু করে কাঁদে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।